۲۵ آذر ۱۴۰۳ |۱۳ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 15, 2024
ভোক্তভোগী যুবক মধুবাবু
ভোক্তভোগী যুবক মধুবাবু

হাওজা / ভাগ্য ফেরাতে এবং বিপুল ঋণের দায় থেকে বাঁচতে কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে দিশাহারা যুবককে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল সামাজিক মাধ্যমের এক বিজ্ঞাপন। যেখানে দাবি করা হয়, মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তিকে বাঁচাতে কিডনি বিক্রি করলে মিলবে ৩০ লাখ টাকা। আর সেই বিজ্ঞাপন দেখে ভাগ্য ফেরাতে এবং বিপুল ঋণের দায় থেকে বাঁচতে কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন যুবক। তবে শেষমেষ তার হাতে মিলেছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের ৩১ বছর বয়সি এক অটোচালকের এ ঘটনা ঘটেছে। পরে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অনলাইন লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন মধুবাবু ওই চালক। সেই ঋণ থেকে বাঁচতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তার বাড়িতে একজন এজেন্ট আসেন। বাশা নামের ওই এজেন্ট তাকে বোঝান কিডনি বিক্রি করলে ৩০ লক্ষ নগদ টাকা পাবেন তিনি। এমনকী বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে এক নারীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করানো হয়। ওই নারী মধুকে আশ্বস্ত করেন তিনি নিজেও কিডনি বিক্রি করেছেন এবং সঠিক সময়ে কথামতো টাকাও পেয়েছেন। কথার জালে ভুলে কিডনি বিক্রিতে রাজি হয়ে যান মধুবাবু।

এর পর বিজয়ওয়াড়ার বিজয়া নামে এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় ওই যুবকের। এরপর তার সন্দেহ কমাতে অস্ত্রোপচারের আগে যার শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন হবে সেই রোগীর পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করানো হয় অটোচালকের। তারা ৫০ হাজার টাকা যুবকের হাতে তুলে দিয়ে জানান, অস্ত্রোপচারের পর বাকি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তবে কিডনি নিয়ে নেওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী বাকি টাকা আর দেওয়া হয়নি যুবককে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবক।

এর পর বিজয়ওয়াড়ার বিজয়া নামে এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় ওই যুবকের। এরপর তার সন্দেহ কমাতে অস্ত্রোপচারের আগে যার শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন হবে সেই রোগীর পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করানো হয় অটোচালকের। তারা ৫০ হাজার টাকা যুবকের হাতে তুলে দিয়ে জানান, অস্ত্রোপচারের পর বাকি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তবে কিডনি নিয়ে নেওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী বাকি টাকা আর দেওয়া হয়নি যুবককে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবক।

ওই যুবকের অভিযোগ, ‘আমার আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে আমার সঙ্গে। তারা কথার জালে জড়িয়ে আমায় বিশ্বাস করিয়েছিল একজন মৃত্যুপথযাত্রীকে প্রাণে বাঁচাতেই এই কিডনি নিচ্ছে তারা। আমিও রাজি হয়েছিলাম এই ভেবে যে একজন মানুষ প্রাণে বাঁচবেন। আমি নিজেও ঋণমুক্ত হব ও আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। তবে পরে জানতে পারি গোটা বিষয়টা ভুয়f। এমনকী রোগীর পরিবার বলে যাদের সঙ্গে আমাকে দেখা করানো হয় তারাও সাজানো।

এদিকে যে হাসপাতালে এত কাণ্ড সেই বেসরকারি হাসপাতালের দাবি, তারা কোনো বেআইনি কাজ করেননি। সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই ওই অস্ত্রোপচার হয়েছে। স্বেচ্ছায় কিডনি দান করতে রাজি হয়েছিলেন ওই যুবক। সেই মতো খাতায় রোগীর সম্মতি নিয়েই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .